Thank you for trying Sticky AMP!!

কীর্তনখোলায় ট্যাংকারের তলা ফেটে তেল নদীতে

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল (ফ্লাইঅ্যাশ) বোঝাই কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ট্যাংকারের তলা ফেটে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ে।


দুর্ঘটনার পরপর ট্যাংকারের খালি অংশে তেল সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে তেল বেশি পরিমাণে নদীতে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। দুর্ঘটনায় দুটি জাহাজের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল কার্যালয় ও যমুনা অয়েল কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রল এবং প্রায় ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে এমটি ফজর নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। অন্যদিকে মোংলা থেকে ১ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে এমভি মা-বাবার দোয়া-২ নামের কার্গোটি ঢাকা যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ট্যাংকার ও কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্যাংকারের সামনের অংশের তলা ফেটে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ে। পরে ট্যাংকারের খালি অংশে তেল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্যাংকারের একজন কর্মী বলেন, দুর্ঘটনায় আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ লিটার জ্বালানি বের হয়ে গেছে।

বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, দুটি নৌযানের অসতর্কতার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত খালি চেম্বারে তেল সরিয়ে নেওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। তবে ট্যাংকার ও কার্গো বিআইডব্লিউটিএর আওতায় না থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

বরিশাল যমুনা অয়েল ডিপোর প্রধান মীর মো. ফকরুল আহসান বলেন, এ ঘটনায় ট্যাংকার কর্তৃপক্ষ মামলা করবে।