Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিল্লায় পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৯ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫৪ হাজার ৩৫৯ জন। এতে গড় পাসের হার দাঁড়ায় ৬১ দশমিক ২৯ শতাংশ। অথচ গত বছর এই হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৪০টি। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৩৯০ জন।

শতভাগ পাস করেছে সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পাসের হারে ছন্দপতন ঘটেছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

বোর্ডের সেরা ২০ কলেজের মধ্যে ১২টি কুমিল্লা জেলার।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। এবার ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ২৮ ও মেয়েদের ৫৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৫৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে নয় হাজার ১৭৪ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫। বিজ্ঞানে ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ১৩ ও মেয়েদের ৭৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। মানবিকে ৩১ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৫ হাজার ৭৮১ জন। পাসের হার ৫১ দশমিক ১৯। ছেলেদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ৭৬ ও মেয়েদের ৫০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৪৫ হাজার ৭৬৪ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৯ হাজার ৪০৪ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৮২। ছেলেদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৫ ও মেয়েদের ৬৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এ বছর গতবারের তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার কমেছে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাসের হার কমেছে ১৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এ বছর বিজ্ঞানে এক হাজার ৫২৭ জন, মানবিকে ১৭৭ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার ১৫০।

শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের ১২টিই কুমিল্লা জেলার

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানই কুমিল্লা জেলার। এগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজ, বুড়িচং উপজেলার সোনার বাংলা কলেজ, বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজ, দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর আদর্শ কলেজ, কুমিল্লা মহানগরের ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা কমার্স কলেজ ও মুরাদনগর উপজেলার অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ। গত বছর এ জেলা থেকে ১১টি কলেজ শীর্ষ স্থানে ছিল।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নামকরা কলেজগুলোই শীর্ষস্থানে রয়েছে। জেলার অন্য কলেজগুলোকে ভালো ফল করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। পাঠদানের কৌশল বদলাতে হবে। দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।’

শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে সাতটি কলেজ থেকে

এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ২৯৫টি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে সাতটি কলেজের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১২ সালে এ বোর্ড থেকে ছয়টি, ২০১১ সালে সাতটি, ২০১০ সালে পাঁচটি, ২০০৯ সালে তিনটি, ২০০৮ সালে চারটি, ২০০৭ সালে একটি এবং ২০০৬ সালে চারটি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, ইংরেজি ও ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে খারাপ ফল হওয়ায় সামগ্রিক ফলাফলের ওপর প্রভাব পড়েছে। তার ওপর পরীক্ষার্থীরা হরতালের কারণে ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। এতে করে তাদের ওপর মানসিক চাপ পড়েছিল।