Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিল্লা জিলা স্কুলের '১৩ ব্যাচের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

ফেসবুকে প্রচারের ফলে মেলে সাড়া। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকটময় মুহূর্তে সরকারি নির্দেশনায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। সবাইকে বাসায় থাকার নির্দেশনার ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষ, যাঁদের সংসার চলে নিত্যদিনের আয়ে। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। নিম্নমধ্যবিত্ত এসব মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।

গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দেশের অন্যতম সেরা স্কুলটির ২০১৩ ব্যাচের ছাত্রদের উদ্যোগে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

১১০ জন মানুষকে বিতরণ করা হয় খাদ্যসামগ্রী। প্রতি প্যাকেটে ছিল পাঁচ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, আড়াই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবণ, এক লিটার তেল আর একটি করে সাবান। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খোলার মধ্য দিয়ে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেন স্কুলটির ২০১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা৷ প্রচারে সাড়া দিয়ে পরবর্তী সময়ে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সাহায্য আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এ তালিকায় ছিল কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ’১৩ ব্যাচ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কুমিল্লা স্টুডেন্টস ফোরাম’। সহায়তার হাত বাড়ায় কুমিল্লার স্বনামধন্য গেজেট শপ Gadget Corner Exclusive এবং অনলাইনভিত্তিক শপ ‘শখের টং’। এ ছাড়া কুমিল্লার বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন থেকে আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়।

আর্থিক অনুদানের এসব অর্থ দিয়ে তৈরি প্যাকেজ গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন অংশে ঘুরে ঘুরে অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

১১০ জন মানুষকে বিতরণ করা প্রতি প্যাকেটে ছিল পাঁচ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, আড়াই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবণ, এক লিটার তেল আর একটি করে সাবান।

গত বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম সেরা স্কুলটির ২০১৩ ব্যাচের ছাত্রদের উদ্যোগে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজানের আগে আরও একবার এই কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলেছেন উদ্যোক্তারা। এমন করে মানবতার গল্প ছড়িয়ে যাক মানুষ থেকে মানুষে। অসহায় মুখে ফুটুক স্বস্তির হাসি।