Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ি এলাকায় কৃষক ডাবলু হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ আদেশ দেন।

এদিকে পৃথক মামলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে মিরপুর উপজেলার বালিয়াশিশা গ্রামের স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান।

কৃষক ডাবলু হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন কবরবাড়ি এলাকার জি কে ক্যানেলের পাশ থেকে ডাবলুর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আতর আলী আটজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ডাবলুর পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পুকুরের লিজ ও হাটের টোল আদায়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামিদের সঙ্গে শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ডাবলুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কবরবাড়ি এলাকার জালাল প্রামাণিক, আতর আলী, জামান হোসেন, আসাদুল মোল্লা, মেহের আলী মালিথা এবং সাতগাছি গ্রামের রুবেল মালিথা ও আসলাম মালিথা। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। পরে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গৃহবধূ হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি আজাদ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তুলি খাতুনকে মারধর করতেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ১৮ মে রাতে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তুলি খাতুনকে হত্যা করেন আজাদ। তুলির গলায় রশি দিয়ে বাড়ির পাশের আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা আলী হোসেন মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামির উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ (ক) ধারা মোতাবেক এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।