Thank you for trying Sticky AMP!!

কোণঠাসা বিএনপি

মাসুদ অরুণ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদ অরুণের বাবা আহমেদ আলী সাংসদ ছিলেন। মাসুদ অরুণ ও তাঁর ভাই মারুফ আহমেদ একটানা ১০ বছর জেলা বিএনপির হাল ধরে আছেন। তাঁরা একাধিকবার বেশ কয়েকটি মামলায় জেল খেটেছেন। মাঠপর্যায়ে মাসুদ অরুণের গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে কোণঠাসা এই প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, ধানের শীষের প্রচারে বাধার পাশাপাশি হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা।
জেলা বিএনপির নেতারা বলেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধড়পাকড়ের মাত্রা বেড়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পরে নির্বাচনী কেন্দ্র, প্রচারের মাইক, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন তদন্ত কমিটিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কোনো হস্তক্ষেপ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
মেহেরপুর সদরের উজলপুর গ্রামের ভোটার সামাদ বিশ্বাস বলেন, গ্রামে গ্রামে পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখারা কর্মকর্তারা বিএনপির কর্মী ও নেতাদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। হাতের কাছে পেলেই নাশকতা ও গায়েবি মামলার আসামি করা হচ্ছে। এ রকম ভীতিকর পরিবেশে তিনি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের এক ছাত্র বলেন, গ্রামে বাড়ি তাঁর। এবারই তিনি প্রথম ভোটার হয়েছেন। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে গ্রামে তেমন কোনো আলোচনা হতে দেখা যায় না। চায়ের দোকানগুলোতে আওয়ামী সমর্থকদের কিছু আলাপ–আলোচনা ছাড়া বিএনপির কোনো কথা কেউ বলে না। বিএনপির প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
সদরের কালাচাঁদপুর, বুড়িপোতা, হরিরামপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নৌকার প্রতীকে ছেয়ে গেছে এসব এলাকা। আবার রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ধানের শীষের পোস্টার। হরিরামপুরের এক চা–দোকানি বলেন, ‘কী লাভ! সকালে ধানের শীষের পোস্টার লাগানো হলে রাতেই ছিঁড়ে ফেলা হয়।’