Thank you for trying Sticky AMP!!

কোয়ারেন্টিন শেষ করলেন ২১ হাজার প্রবাসী

চলতি মাসে বিদেশ থেকে ফেরা ২১ হাজার প্রবাসী তাঁদের ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ (সঙ্গ–নিরোধ) শেষ করেছেন। তাঁদের শরীরে অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এখনো কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার জন। পুলিশ সদর দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পুলিশ ৬৯ হাজারের ঠিকানা পেয়েছে।

এর আগে, পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জানুয়ারি থেকে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ দেশে এসেছেন। এর মধ্যে মার্চ মাসের প্রথম ২০ দিনেই এসেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার। আজ বুধবারও এসেছেন ৮৭৩ জন, যাঁদের ৮০৯ জনই প্রবাসী। অনেকে দেশে আসার সময় সঠিক ঠিকানা না দেওয়া এবং পাসপোর্টের ঠিকানায় অবস্থান না করার কারণে ফিরে আসা লোককে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিদেশফেরত যেসব ব্যক্তি কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা না মেনে অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর পুলিশের বিশেষ শাখা মার্চ মাসে যাঁরা দেশে এসেছেন, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করে।

দেশে ফেরা লোকজন কোয়ারেন্টিনের নিয়মকানুন সঠিকভাবে অনুসরণ করছেন কি না, তা জানতে পুলিশ তাঁদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। কোয়ারেন্টিনের শর্তভঙ্গের দায়ে মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও ঝালকাঠিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ফেরা বেশির ভাগ প্রবাসীই তাদের পাসপোর্টে উল্লিখিত ঠিকানায় অবস্থান করছেন না। তাঁদের অনেকেই সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ঘোরাফেরা করছেন, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের এবং সাধারণ জনগণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় ১ মার্চ থেকে বিদেশফেরত প্রবাসীদের তাঁদের বর্তমান অবস্থান (ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর) কাছের থানা অথবা ৯৯৯–এ যোগাযোগ করে জানাতে হবে। তা না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁদের পাসপোর্ট স্থগিত হতে পারে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম বন্ধ করেছে পুলিশ। মানুষকে সচেতন করছে, তাঁদের সহায়তা দিচ্ছে। আবার এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।