Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রেতার পছন্দ দেশি গরু, পিছু হটছেন দামে

লালু নামের এই গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। লোহাগাড়ার দরবেশহাট সওদাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আনোয়ার গত দুই বছর ধরে গরুটিকে লালন–পালন করে বাজারে বিক্রি করতে এনেছেন। গতকাল বিকেলে লোহাগাড়ার পদুয়া বাজার পশুর হাটে। মামুন মুহাম্মদ

ফেনীতে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটে আসা ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ দেশি গরু। কিন্তু দাম এখনো বেশ চড়া। তাই দরদামের পর পিছু হটছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। গতকাল বুধবার জেলার সোনাগাজী ও ফুলগাজীর দুটি হাট ঘুরে এই চিত্র পাওয়া যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা প্রায় ৮৫ হাজার পশু। স্থানীয় লোকজন ও খামারিদের কাছে পশু মজুত আছে ৮৮ হাজার ২৯৮টি। জেলায় প্রায় ৩ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার ৫০টি হাটে পশুর রোগবালাই পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলার ছয়টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মেডিকেল টিমের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জমান প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশু বিক্রির বড় হাট বাজারগুলোতে ব্যাংকের প্রতিনিধিরা জাল নোট শনাক্তকরণ যন্ত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। হাটে যাতে করে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয় সে জন্য ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে পুলিশি টহল।

গতকাল বিকেলে সোনাগাজীর কুঠিরহাটে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রির জন্য উঠেছে প্রায় তিন হাজার পশু। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ গরু। মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়।

আবুল বাশার নামে এক ক্রেতা বলেন, মাঝারি গড়নের দেশি গরুকে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।

হাটে আসা গরুর ব্যাপারী মো. শাহজাহান বলেন, তিনি উত্তরবঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৫০টি গরু নিয়ে এসেছেন। তাঁদের কেনাও গত বছরের তুলনায় বেশি। তা ছাড়া বেড়েছে পরিবহন খরচও। ফলে কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই। গত বছর যেসব গরু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে তা এবার ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

জেলার অপর বড় বাজার ফুলগাজীতেও গতকাল প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার গরু বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০-৬০টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে ব্যাপারীরা জানান।

ওই হাটে আসা সাহাব উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির ঈদের মাত্র চার দিন বাকি। কিন্তু দাম বেশির হওয়ার কারণে এখনো পশু বেচাকেনা কম। তবে কিছু ছাগল বিক্রি হয়েছে।