Thank you for trying Sticky AMP!!

খানাখন্দে ভরা সড়কে কাদাপানিতে একাকার

সড়কজুড়ে খানাখন্দ। বড় বড় গর্ত এখন ছোটখাটো জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। এসব গর্তে জমে থাকে পানি। ফলে কাদাপানিতে একাকার সড়কে চলতে ভোগান্তির শেষ নেই। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। আনোয়ারার চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা সড়কের (সিইউএফএল) এমনই বেহাল দশা এখন।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, সার পরিবহনের জন্য নব্বইয়ের দশকে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী থেকে সিইউএফএল কারখানা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে ওই সড়ক দিয়ে শাহ মোহছেন আউলিয়া-জুঁইদণ্ডী ও চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-গহিরা রুটের গাড়ি চলাচল শুরু হয়। পরে ওই সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী সার কারখানা (কাফকো) ও তাদের সার পরিবহনের কাজে ব্যবহূত হয়। একইভাবে কেইপিজেড এবং মেরিন একাডেমির লোকজনও যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। এতে সড়কটির গুরুত্ব বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বর্ষা শুরু হতেই ওই সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ভেঙে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে বৈরাগ পর্যন্ত অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। গর্তে পড়ে প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। বৈরাগের মোহাম্মপুর এলাকার বাসিন্দা ফৌজুল আজাদ চৌধুরী বলেন, সড়কটির বেহাল দশায় খুব কষ্ট পাচ্ছি, কখন যে এ কষ্টের শেষ হবে, কে জানে।’ তিনি জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
সিইউএফএল সড়কের অটোরিকশাচালক নাছির উদ্দিন বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেক সময় গাড়ি পানিতেই আটকে থাকে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সারকারখানার (সিইউএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বাহারুল হায়াত বলেন, সড়কটি মেরামতসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারখানার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে সড়কটি আমরা সংস্কার করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।’ আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমদ বলেন, সড়কটির সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সিইউএফএল ও কাফকোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।