Thank you for trying Sticky AMP!!

খালেদার বাসার সামনে পুলিশ নেই

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ এর মূল ফটক আজ সোমবার সকালে বন্ধ দেখা গেছে। ছবি: রিয়াদুল করিম

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে আজ সোমবার সকাল থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। এত দিন বাসার সামনে পুলিশের ছয় থেকে সাতজন সদস্য নিয়মিতভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

সকাল থেকে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র আশপাশ অনেকটাই ফাঁকা। বাসভবনের মূল ফটক বন্ধ রয়েছে। বাসার সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের জন্য একটি ছাউনি ছিল। ছাউনিটি রয়েছে। তবে পুলিশের কোনো সদস্য সেখানে নেই। বাসভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি।

খালেদা জিয়া গত ৪ জানুয়ারি থেকে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। প্রায় দুই মাস ধরে গুলশানের কার্যালয়ে তিনি অবস্থান করছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির চার দিন পর এবার তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর ফলে পুলিশ এখন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে।

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যেকোনো সময় তল্লাশি


খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কখন তল্লাশি চালানো হতে পারে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, যখন প্রয়োজন মনে হবে, তখন তল্লাশি করা হবে।

কয়েকজন নেতা-কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অর্ধশত ব্যক্তি খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আছেন। এখন সেখানে খালেদা জিয়ার আত্মীয়স্বজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর গ্রেপ্তারের ভয়ে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা অন্যরা কেউ বেরও হচ্ছেন না।

খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে কোনো পুলিশ ছিল না। ছবি: রিয়াদুল করিম

বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করার কৌশল হিসেবে সরকার পুলিশকে দিয়ে আদালতে তল্লাশি পরোয়ানার আবেদন করিয়েছে। মূলত তল্লাশির নামে ওই কার্যালয়ে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসনের নিজস্ব কর্মকর্তা ও নেতাদের বের করে আনতে চায় সরকার। যাতে খালেদা জিয়া সম্পূর্ণভাবে নিঃসঙ্গ ও যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ ছাড়া কার্যালয়ে যোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের সরঞ্জাম থাকলে তা উদ্ধার করা তল্লাশি অভিযানের উদ্দেশ্য হতে পারে।