Thank you for trying Sticky AMP!!

খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি আবার পেছাল

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে আটজন হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের অধিকতর শুনানি আবার পিছিয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লার ৫ নম্বর (চৌদ্দগ্রাম) আমলি আদালতের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির নতুন তারিখ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. কাইমুল হক বলেন, চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাওয়ায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববারও তাঁরা জামিন চেয়েছেন। কিন্তু আদালত এ নিয়ে কয়েক দফা এই মামলার শুনানি পেছালেন।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে আটজন যাত্রী নিহত ও ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন জামায়াতের সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৫৬ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। পরে খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে আরেকটি সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দেওয়া হয়। উভয় অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার নাম ৫১ নম্বরে আছে। ২০১৮ সালের ২৮ মে হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁকে ছয় মাসের জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে চেম্বার জজ জামিনের আদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে পূর্ণাঙ্গ শুনানি করার নির্দেশ দেন।

গত ১১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিষয়টি নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দেন। ১২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ৫ নম্বর আমলি আদালতে এই মামলার জামিনের শুনানি হয়। পরে আদালতের বিচারক ২০ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আজ রোববার আবার শুনানির দিন পেছাল।
বর্তমানে খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আছেন।

আইনজীবী কাইমুল বলেন, বাসে আগুনে পুড়িয়ে আটজন মারা যাওয়ার এই মামলায় খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে তথা মামলার প্রাথমিক বিবরণীতে নেই। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ব্যক্তি ১৬৪ ধারায় আদালতে খালেদা জিয়ার নাম বলেননি। এরপরও তাঁকে এই মামলায় রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়।