Thank you for trying Sticky AMP!!

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে আগের শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ–সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন এবং সেই নথি আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে ৩ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার। আবেদনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাতে স্বাক্ষর করে সেটি সচিবের দপ্তরে পাঠান।

সে সময় খালেদা জিয়ার জামিনের শর্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, শর্ত দুটি হলো খালেদা ঢাকায় তাঁর নিজ বাসায় থাকবেন এবং এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

মুক্তির পর থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন খালেদা। মুক্তির পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। পরিবারের সদস্য ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথমে পাঁচ বছরের এবং পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চার থেকে পাঁচজনের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের প্রদাহ, হৃদ্‌রোগ সমস্যাসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে।