Thank you for trying Sticky AMP!!

খাল খননে আ.লীগ নেতার তিন ছেলের বাধা!

রাজশাহী

রাজশাহীর বাগমারায় খাল খননে বাধা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের এক নেতার তিন ছেলেকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন জনতা। তাঁরা একটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশকে দেওয়ার কথাও বলছেন। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করছে।
অবশ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, তাঁদের সামনে রিভলবারসাদৃশ্য একটি বস্তু এলাকাবাসী পুলিশকে দিয়েছিলেন। তবে সেটি সম্ভবত খেলনা ছিল।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রিভলবারসাদৃশ্য একটি জিনিস তাঁর উপস্থিতিতেই পুলিশকে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর হাতে আটক তিন সহোদর হলেন রেজাউল ইসলাম, আবদুল মতিন ও মাহিন হোসেন। তাঁরা উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোলাইমান আলীর ছেলে। 

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগমারার মাড়িয়া, ঝিকড়া ও বড়বিহানালী ইউনিয়নের ভেতর গুঁড়িয়াবান্ধা ও আন্ধার বিল। বিলের ভেতরে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতা এখন নিত্যসঙ্গী। জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এলাকার প্রায় চার হাজার কৃষক নিজেদের টাকায় খালের কিছু অংশ খননের উদ্যোগ নেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিলের শৈলাকুড়ি গ্রাম এলাকায় খননকাজ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমানের ওই তিন ছেলে দুপুরে শৈলাকুড়ি গ্রাম এলাকায় গিয়ে খাল খননে বাধা দেন। খননের কারণে খালের পাশে থাকা তাঁদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা খননে নিযুক্ত শ্রমিকদের মারপিট করেন এবং অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখান। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে তাঁরা একটি অস্ত্র পানিতে ফেলে দেন। পরে একটি রিভলবার, একটি চাকুসহ তিনজনই ধরা পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁদের মারধর করে আটকে রাখেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পুলিশ অস্ত্রটি গায়েব করে তাঁদের রক্ষার চেষ্টা করছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, হাজারো জনতা মাহিন, মতিন ও রেজাউলকে ঘিরে ধরেছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে এনেছে পুলিশ। ওই তিনজন এখনো থানায়।
পুলিশি হেফাজতে মাহিন দাবি করেন, তাঁদের জমি নষ্ট হচ্ছিল বলেই খাল খননে বাধা দিয়েছেন। অস্ত্র থাকার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।