Thank you for trying Sticky AMP!!

খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত কখনোই মানুষ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে সরকারের উদ্যোগের আবারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জামুকার সিদ্ধান্ত কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না, এটা এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎ​সা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পর শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই খেতাব তো তিনি (জিয়াউর রহমান) অর্জন করেছেন। এটা কারও দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেছেন উনি এবং সেটা উনি অর্জন করেছেন। সুতরাং আমরা মনে করি, জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলে খাটো করে দেখাতে পারবে না।’

গত ৩০ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম সিঙ্গাপুর যান। সেখানে ফারার পার্ক হসপিটালে তাঁর চিকিৎসা হয়। প্রায় এক মাস পর মির্জা ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে হুইলচেয়ারে চড়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারে বসেই বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শরীরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালো না। আমি এখনো সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে তারপর চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরছি।’

করোনার টিকার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে (সিঙ্গাপুর) বিদেশিদের টিকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে দেখব কী অবস্থা, রেজিস্ট্রেশন করে তখন চেষ্টা করব।’

২০১৫ সালে কারাবন্দী অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। কারামুক্তির পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর প্রতিবছরই চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।

বিএনপির মহাসচিব সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেব আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তাঁর মৃত্যুসংবাদে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব নিঃসন্দেহে দেশের এমন একজন মানুষ, যাকে বলা যেতে পারে আ ম্যান অব ইন্টেগ্রিটি, ম্যান অব অনেস্টি অ্যান্ড ডিগনিটি। ব্যাংকিং সেক্টরে তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। দুজনের মৃত্যুতে জাতি দুজন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে হারাল।’