Thank you for trying Sticky AMP!!

গঙ্গাচড়ায় বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রম

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতকাজ করছেন৷ উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ মেরামতকাজ চলছে৷
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, ১৯৭২ সালে বিদ্যালয় ভবনটি এখানে নির্মাণ করা হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙতে ভাঙতে এবার একেবারে বিদ্যালয়ের কিনারে এসে ঠেকেছে।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল এলাকায় লোকজন বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতে কাজ করছেন৷ পাশেই নদীর স্রোত এসে বাঁধের প্রায় ৬০ ফুট এলাকায় ধাক্কা লাগছে৷ এ স্থান থেকে চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আর মাত্র ২০-২৫ ফুট দূরে রয়েছে৷
এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলায় তিস্তা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এই বাঁধের ৫০ থেকে ৬০ ফুটে ভাঙন ধরেছে৷ এখনই মেরামত করা না গেলে ভরা বর্ষায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই ভাঙনরোধে এলাকাবাসী এক সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের পাইলিং ও বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে একজন কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘নদীর ভাঙনে বারবার বাড়ি সরানো লাগছে। আবাদি জমি যা আছলো। তা সব নদীত চলি গেইছে। এলা যদি কোনোরকমে বাঁধটা ঠেকা যায়, এই জন্যে কাজ করতোছি।’ কৃষক সোয়েব আলী, মোস্তফা আলী, সাহেব আলী, আলেফ উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা নিজেদের প্রয়োজনেই এই বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন৷ কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো কাজ করেনি৷
কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বলেন, বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশের পাইলিং করে বাঁধটি কোনোভাবে রক্ষার চেষ্টা করছে।
পাউবোর রংপুর কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল খালেক ভাঙনের কথা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দ না থাকায় জরুরিভিত্তিতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না৷