Thank you for trying Sticky AMP!!

গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী: স্পিকার

শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী, যা গণতন্ত্রের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় স্পিকার এ কথা বলেন। বৈঠকে সংসদীয় গণতন্ত্র, সরকারের জবাবদিহি, মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান আইন ও কার্যাবলি এবং গণতন্ত্র বিকাশে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন এবং কমিশনের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আলোকপাত করেন। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মানবাধিকার কমিশন যে সব আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, তা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী একমত পোষণ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। তিনি আইন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
কূটনীতিক প্রতিনিধি দলে ছিলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লাকেন,সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোট্টা স্লাইটার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেন্সটেইন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ফার্ষ্ট সেক্রেটারী (পলিটিক্যাল) এরিকা হ্যাজনস, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।