Thank you for trying Sticky AMP!!

গণশিক্ষামন্ত্রীর আয় কৃষি খাতেই ছয় গুণ বেড়েছে

মোস্তাফিজুর রহমান

পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের কৃষি খাতে বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। কৃষি খাতে এখন তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৫ হাজার টাকা। মন্ত্রীর তিন একর কৃষিজমি রয়েছে। পাঁচ বছরে মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর সঙ্গে যে হলফনামা দিয়েছেন, তার সঙ্গে পাঁচ বছর আগের দশম সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে তুলনামূলক এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এবারের হলফনামা অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকানসহ অন্যান্য ভাড়া বাবদ বছরে আয় ২ লাখ ৭ হাজার ৪৮৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৭২৯ টাকা। আর সম্মানী ভাতা ও পারিতোষিক থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

পাঁচ বছর আগে মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে কৃষি খাত ও বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল আড়াই লাখ টাকার কিছু বেশি। তবে এবার স্ত্রীর নামে কোনো আয় দেখানো হয়নি। স্ত্রীর কাছে ২০ ভরি গয়না রয়েছে। তবে এর মূল্য হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৯ টাকা অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৬৫ টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে মন্ত্রীর স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১৯৬ টাকা।

মন্ত্রীর নিজেরও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। এবার তাঁর কাছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ২৯৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৪ টাকা।

মন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে তিন একর কৃষিজমি ছাড়াও নিজ এলাকা ফুলবাড়ীতে একটি মার্কেট ও দিনাজপুরে সাড়ে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ফুলবাড়ীতে মন্ত্রীর স্ত্রীর চারতলা মার্কেট রয়েছে। পাঁচ বছর আগে মন্ত্রীর কোনো দায় না থাকলেও এবার দেড় কোটি টাকার মতো দায়দেনা রয়েছে।