Thank you for trying Sticky AMP!!

গণিত উৎসবের সমাপনী দিন উৎসবমুখর

উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার জাতীয় গণিত উৎসবের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল প্রাঙ্গণ।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আজ থাকছে গণিতের পট, ভাষা ও দেশের গান, রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা, সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী হলে তারা কী করবে। জবাবে এক শিক্ষার্থীর অভিমত, সে প্রধানমন্ত্রী হলে সব জায়গায় গাছ লাগাবে।

আরেকজন পরিবেশদূষণ রোধ করার কথা জানায়। অন্য এক শিক্ষার্থী বলে, বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে হিসেবে গড়ে তুলবে।

প্রতিটি জেলায় বইমেলা আয়োজনের স্বপ্নের কথা জানায় আরেক শিক্ষার্থী।

প্রধানমন্ত্রী হলে সারা দেশকে অঙ্কময় করার কথা জানায় এক শিক্ষার্থী।

আরেকজন শিক্ষার্থী বলে, প্রধানমন্ত্রী একা কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই সবাইকে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়বে সে।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যাকে ‘না’ বলার শপথ করানো হয় শিক্ষার্থীদের।

গতকাল শুক্রবার ছিল উৎসবের জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত আয়োজন: ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। এবার আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। চলবে আগামী ৩ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত। অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় দেশজুড়ে গণিত উৎসবের আয়োজন করে।

এবার আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। প্রতিযোগিতা হয়েছে ২২টি অঞ্চলে। গত বছর হয়েছিল ১৭টি অঞ্চলে। প্রাথমিক, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি—এই চারটি বিভাগে ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বিজয়ী এক হাজার ৫৫ জনকে নিয়ে গতকাল থেকে ঢাকায় শুরু হয় দুই দিনের জাতীয় উৎসব। দেশে গণিতের এই উৎসব শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। এবার হলো তার যুগপূর্তি। এই এক যুগের সাফল্য হলো—নয়টি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে দেশের তরুণদের একটি রৌপ্য, আটটি ব্রোঞ্জসহ নয়টি পদক জয়।