Thank you for trying Sticky AMP!!

অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বধ্যভূমি

গাইবান্ধার বধ্যভূমি আবর্জনায় ভরা

কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ির একাত্তরের বধ্যভূমি। বধ্যভূমিটি বর্তমানে গো-চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। এটি গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। তবে স্মৃতিফলকে লেখা ‘পশ্চিম রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমি ৭১’।

৫ ডিসেম্বর দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, বধ্যভূমিটির বেহাল দশা। তিন দিকে গাছপালা ও ঝোপঝাড়। তিন ফুট উচ্চতার সীমানাপ্রাচীর থাকলেও দরজা নেই। ভেতরে যত্রতত্র মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনা; চারদিক দুর্গন্ধময়। প্রাচীরের ভেতরে বেঁধে রাখা হয়েছে গবাদিপশু। স্মৃতিস্তম্ভের অর্ধেক মেঝে পাকা হলেও সেখান থেকে হারিয়ে গেছে ইট।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে এ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। পরে আর কোনো সংস্কার কিংবা উন্নয়নকাজ হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ না থাকায় এক বছর আগে প্রাচীরের দরজা চুরি গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বধ্যভূমির ভেতরে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।

পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের সিতেশ চন্দ্র (৬০) প্রথম আলোকে বলেন, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে ফুল দেওয়া হলেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে ওই দুই দিন কোনো আলোচনা সভা কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান হয় না।

পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আবদুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ধরে এখানে আনে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর স্মৃতিস্তম্ভের রঙের কাজ করা হয়েছে। ওই বধ্যভূমির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।