Thank you for trying Sticky AMP!!

গাজীপুরে মহাসড়কে অটোরিকশার রাজত্ব

লকডাউনে পরিবহন বন্ধ। তাই কোনো অটোরিকশা আসতে দেখলেই ছুটছেন অপেক্ষারত যাত্রীরা। যান না পেয়ে কেউ কেউ যাচ্ছেন হেঁটে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর মোড়ে

সরকারি বিধিনিষেধে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। কিছু কারখানার শ্রমিকবাহী বাস চলাচল করলেও তারা সাধারণ যাত্রীদের উঠাচ্ছে না। এ কারণে অটোরিকশায় যাতায়াত করছে মানুষ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে অটোরিকশায় করে যাত্রীরা যাচ্ছেন টাঙ্গাইলের বাইপাস পর্যন্ত। অবশ্য এর জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

আজ মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে যাত্রী ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান লকডাউনে কয়েক দিন ধরে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে লোকজন যাতায়াত করছেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে পুলিশি তৎপরতায় তাঁরা চলাচল করতে পারছেন না।

এ ছাড়া পুলিশের মামলার ভয়ে ট্রাক ও পিকআপের চালকেরা যাত্রী নিচ্ছেন না। মহাসড়কে বেড়ে গেছে অটোরিকশার সংখ্যা। অটোরিকশাগুলো চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে টাঙ্গাইল বাইপাস পর্যন্ত যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী, কড্ডা, নাওজোড় হয়ে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল করছে। এ সুযোগে অটোরিকশার চালকেরা ভাড়া আদায় করছেন কয়েক গুণ বেশি।

কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ফাতেমা খাতুন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মকন্দগাতী গ্রামে। কঠোর লকডাউনের কথা শুনে গাড়ি না পেয়ে অটোরিকশায় যাচ্ছেন টাঙ্গাইলে। এ জন্য তাঁকে গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা ভাড়া। ফাতেমা বলেন, টাঙ্গাইলে নেমে সেখান থেকে যাবেন সিরাজগঞ্জে।

অটোরিকশাচালক সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণত মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত যাই। কিন্তু অনেক সময় যাত্রীদের জোরাজুরিতে দূরে যেতে হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় আমাদের দূরের রাস্তায় চলতে সমস্যা হচ্ছে না।’

একই অবস্থা দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস, কুনিয়া, গাছা, বড়বাড়ি, মাস্টারবাড়ি, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায়ও। সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর গোলাম ফারুক বলেন, গণপরিবহন বন্ধ আছে। কোনো ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। শুধু পণ্যবাহী যানবাহন চলছে।