Thank you for trying Sticky AMP!!

গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা হাফিজ-খায়রুল

জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাফিজ আহমেদ ও খায়রুল কবীর। ছবি: আসাদুজ্জামান

রাজধানীতে হাইকোর্টের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলটির তিন নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া অন্য দুজন বিএনপি নেতা হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও হকার্স দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলে, হাফিজ উদ্দিন আহমেদের ইন্ধনে সেদিন সমাবেশে জড়ো হওয়া লোকজন গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করে। আর খায়রুল কবির ও মকবুল হোসেন এই ঘটনা ঘটানোর জন্য নানাভাবে উসকানি ও সহযোগিতা দেয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, বিএনপি নেতা হাফিজ আহমেদ বয়স্ক মানুষ। অসুস্থ। খায়রুল কবির ও মকবুল হোসেন ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের এই আদেশের পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে সন্ধ্যার পরে তাঁরা ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পর বিএনপি নেতা হাফিজ আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি জামিনের জন্য হাইকোর্টে এসেছিলেন, সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। জামিন পাওয়ায় তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় গাড়িও ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় রাতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে শাহবাগ থানা-পুলিশ।