Thank you for trying Sticky AMP!!

গৃহকর্মীর বাড়িতে ভাত, মাছ, মাংস খেলেন মাশরাফি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গৃহপরিচারিকার বাড়িতে বেড়িয়ে গেলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় ওয়ান ডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা গতকাল শুক্রবার সপরিবারে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে তাঁর গৃহপরিচারিকার বাড়িতে বেড়িয়ে গেলেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলার পূর্ব যোগানিয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী। তিন মেয়েকে নিয়ে একসময় রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। মিরপুরের একটি হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। একই অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ক্রিকেটার মাশরাফি। এক সময় আক্কাছ আলীর বড় ও মেজ মেয়ে মাশরাফির বাসায় গৃহপরিচারিকা ছিলেন। ছোট মেয়ে টুনি তিন বছর ধরে মাশরাফির বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে আছে।

আক্কাছ আলীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফির সঙ্গে এই পরিবারের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। আক্কাছের দুই মেয়ের বিয়ের খরচ দিয়েছেন মাশরাফি। সেই সূত্রে টুনি তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মাশরাফি পরিবারের কাছে আবদার করত প্রায়ই। সেই আবদার সপরিবারে রক্ষা করলেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সপরিবারে পূর্ব যোগানিয়া গ্রামে যান মাশরাফি। তাদের ভাত, পটল ভাজা, মাছ, মুরগির মাংস ও গরুর মাংস খাওয়ানো হয়। সঙ্গে ছিল দই ও মিষ্টি। মাশরাফি ফিরে যাওয়ার পর আক্কাছ আলী বলেন, ‘মাশরাফি আমার বাড়িত, ভাবতামও পাইতাছি না।’

মাশরাফি আসার খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসতে থাকেন আক্কাছ আলীর টিনের ছোট্ট বাড়িতে। ক্রিকেট তারকার সঙ্গে কেউ তোলার চেষ্টা করেন সেলফি, কেউবা অটোগ্রাফ নিতে ব্যস্ত হয়ে যান। প্রচণ্ড ভিড় জমে আক্কাছ আলীর বাড়ির চারপাশে। আপ্যায়ন করা হয় মাশরাফি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। দুই ঘণ্টা অবস্থান করে ফিরে যান তাঁরা। আক্কাছকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গেছেন সাংসদ মাশরাফি।