Thank you for trying Sticky AMP!!

গোয়ালন্দে একই গ্রামের ১০ জনের করোনা শনাক্ত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এবার একই গ্রামে একসঙ্গে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন নারী, চারজন পুরুষ ও এক কিশোরী আছে। এ নিয়ে গোয়ালন্দে মোট ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো। এর মধ্যে আটজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ জানান, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবুওছিমদ্দিন পাড়ার এক কিশোরের (১৭) করোনা শনাক্ত হলে গত ২৯ মে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন ৩০ মে ওই পরিবারসহ গ্রামের ৫৩ জনের নমুনা নেওয়া হয়। আজ বুধবার বিকেলে আসা প্রতিবেদনে তাঁদের ১০ জনের ‘করোনা পজিটিভ’ শনাক্ত হয়।

আসিফ মাহমুদ জানান, ঈদের আগে ওই কিশোরের জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরিবার থেকে ঈদের দিন তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঈদের পরের দিন পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপরও বাড়িতে নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পরে অনেকটা জোর করে ওই কিশোরের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৯ মে বিকেলে ওই তরুণের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে।

নবুওছিমদ্দিন পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ঈদের চার দিন আগে মা, বাবাসহ ওই কিশোরের পরিবার গ্রামের বাড়ি আসে। এ সময় তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে জ্বর, সর্দিসহ করোনার উপসর্গ ছিল। দুই দিন পর ওই কিশোরের মায়ের মৃত্যু হয়। এরপরও তাঁরা কেউ করোনার নমুনা দেননি। পরিবারের লোকজন ২৯ মে শুক্রবার বাড়িতে কুলখানির আয়োজন করে। ওই দিন বিকেলে কিশোরের করোনা পজিটিভ আসে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, নবুওছিমদ্দিন পাড়ার ওই পরিবারসহ নতুন আক্রান্ত ১০ ব্যক্তিকে বাড়িতেই আইসোলেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে। ওই সব পরিবারের দেখভালের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্য স্বাস্থ্যসামগ্রী হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হবে।