Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরেক জঙ্গিকে

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির সুরক্ষিত এলাকার দুটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা (গ্রেনেড) হামলার ঘটনায় জেএমবির আরও এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার (শোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম আবদুল গাফফার। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত জঙ্গি। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন চৌধুরী গতকাল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
২৩ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘জেএমবির এক জঙ্গির জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড থানার পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ ১৫ জানুয়ারি আসামি গাফফারকে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন। আসামিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে হাজির করা হয়। শুনানিতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। এর আগে রিমান্ডে আসামি আবদুল মান্নান তাঁর বড় ভাই আবদুল গাফফারের প্ররোচনায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেন।
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি হামলায় সামরিক-বেসামরিক লোকসহ ২৪ ব্যক্তি আহত হন।
বোমা হামলার নয় মাস পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, ঈসা খাঁ ঘাঁটির সাবেক বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী ও বাবলু ওরফে রনিকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় আরও অনেককে। আসামিদের মধ্যে আবদুল মান্নান ও রমজান আলী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুজন পলাতক।
গাফফার ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার মধ্য বাড্ডার নিজ বাসায় খুন হওয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ খিজির খান এবং ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর গোপীবাগের ছয় খুনের ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। তাঁকে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার বাড্ডা, শেরেবাংলা নগর ও ওয়ারী থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।