চট্টগ্রামে বাস-ট্রেনে ঠাসা ভিড়, ঝুঁকি নিয়েই যাচ্ছে মানুষ
ঈদে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরার জন্য চট্টগ্রাম নগরের বাসস্টেশনগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রেলস্টেশনেও একই অবস্থা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে সব ট্রেন ছাড়ছে দেরিতে।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ বাসস্টেশন, যেমন: বিআরটিসি, কদমতলী, বহদ্দারহাট টার্মিনাল, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও অক্সিজেন মোড়ে সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের ভিড়। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন এলাকায় যানজট লেগে রয়েছে। বাড়তি ভাড়ায় তারা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করার জন্য ছুটছে গ্রামের বাড়িতে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইফতেখার ফয়সাল লোহাগাড়ার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য শাহ আমানত সেতু এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানান, অনেক অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১১টায় একটি বাসে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য গুনতে হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি ৮০ টাকা ভাড়া।
একইভাবে রাঙামাটির ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকায়। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি বিআরটিসি বাস ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা করে। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করার আনন্দের কাছে এসব বাড়তি ভাড়া অনেকেই গায়ে মাখছে না। আবার ভাড়া নিয়ে স্টেশনগুলোতে গণপরিবহনের কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্বিতণ্ডা করতেও দেখা গেছে।
বিআরটিসি কাউন্টারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৩০-৪০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কারণ ফিরতি পথে গাড়িগুলো তেমন কোনো ভাড়া পাচ্ছে না।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে সব ট্রেন বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। নয়টার পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। একইভাবে অন্য ট্রেনগুলোও আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে।
রহিমা বেগম নামের পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী সকাল সাড়ে নয়টায় বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি সিলেটে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো ট্রেন আসেনি। বসে আছি।
প্রতিটি ট্রেনের বগি ছাপিয়ে ছাদেও অনেক নারী-পুরুষকে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। ঈদ আনন্দের কাছে এসব ঝক্কি যেন ম্লান।
জানতে চাইলে বটতলী রেলওয়ে স্টেশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বলা হয়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনগুলো দেরিতে আসছে। সে কারণে ছাড়তেও দেরি হচ্ছে।