Thank you for trying Sticky AMP!!

চরমপন্থী নেতা নুরুজ্জামান জামিনে মুক্ত

চরমপন্থী সংগঠন বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নুরুজ্জামান লাল্টু উচ্চ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কাজী আরেফ আহমেদসহ জাসদের পাঁচ নেতা হত্যা মামলা এবং পৃথক আরও তিনটি হত্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে বের হন।

আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে নুরুজ্জামান লাল্টু ১৯৯৯ সালের ২৯ জুলাই খুলনা বিভাগের তৎকালীন ডিআইজি লুৎফুল কবীরের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ওই দিন তাঁর সঙ্গীরাও অস্ত্রশস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। কয়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন নুরুজ্জামান। তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ৩০ এর বেশি মামলা হয়েছিল। যার বেশির ভাগই হত্যা মামলা। এর মধ্যে তিনটি মামলায় সাজা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। যে তিনটি মামলায় সাজা হয়েছে, তার দুটো মামলায় আগেই জামিনে ছিলেন। সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর কারামুক্ত হলেন তিনি।

নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর কারামুক্ত হলাম। আলোর মুখ দেখলাম। এবার কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করব। যারা চরমপন্থী-সন্ত্রাসী, তাদের বলব আলোর পথে ফিরে আসো। সন্ত্রাসে শান্তি নেই।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের উপাধ্যক্ষ (জেলার ) ইমরান হোসেন জানান, নুরুজ্জামান লাল্টু আলমডাঙ্গা থানার রায়লক্ষীপুর গ্রামের একটি হত্যা মামলায় বন্দী ছিলেন। উচ্চ আদালত তাঁর জামিন দেওয়ায় সোমবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।