Thank you for trying Sticky AMP!!

চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যার মামলায় চালকসহ গ্রেপ্তার ২

জব্দ করা বাস। বাসটি সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে জব্দ করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত বৃহস্পতিবার চলন্ত বাস থেকে আশিক মিয়া নামের (২৫) এক যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগে পুলিশ বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করেছে বাসটিও। আশিকের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই শরিফ মিয়া (২০)কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

সরাইল থানার পুলিশ আজ শনিবার দুপুরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের সরাইল উপজেলা সদরের নিজসরাইল এলাকা থেকে তাঁদের আটক ও বাসটি জব্দ করেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চালক সুমন মিয়া (২৮) ও সুপারভাইজার এরশাদ মিয়া (৩০)। সুমন মিয়া লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার উপজেলার চরডাক্তার গ্রামের আর এরশাদ মিয়া কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শাদতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আহত শরিফ মিয়া ঘটনার দিন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁরা দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলগামী একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। তাঁরা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর থেকে ভোরে বাসটিতে ওঠেন। তাঁদের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে নামার কথা ছিল। সকাল সাতটার দিকে বাসটি বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছায়। এর আগে ভাড়া নিয়ে ওই বাসের চালকের সহযোগীর সঙ্গে তাদের সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হন বাসের চালক ও তাঁর সহযোগী। শরিফের অভিযোগ, এ কারণে বিশ্বরোড মোড়ে না নামিয়ে এক কিলোমিটার দূরে কুট্টাপাড়া মোড়ে জোর করে ধাক্কা দিয়ে দুই ভাইকে বাস থেকে ফেল দেন চালকের সহকারী। এতে বাসের চাকায় চাপা পড়ে আশিক মিয়া গুরুতর আহত হন। আশিককে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

সেদিন রাতে আশিক মিয়ার শ্বশুর আবুল কালাম (৬২) বাদী হয়ে বাসের অজ্ঞাতনামা চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আশিক ও শরীফ দুজনই ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। তাঁরা সরাইলের সদর ইউনিয়নের গুনারা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাসটি চিহ্নিত করে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সরাইলে ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডায় দুই ভাইকে বাস থেকে ধাক্কার অভিযোগ, একজনের মৃত্যু