Thank you for trying Sticky AMP!!

চার ধাপে ১০৮ জন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান

নির্বাচন কমিশন ভবন

উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আরও ৩৯ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে প্রথম তিন ধাপে ৬৯ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চার ধাপে ৪৫০টি উপজেলার ১০৮ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এই হিসাবে প্রায় চার ভাগের এক ভাগ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন।


নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনী তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।


ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাচনের তিন ধাপে ৩২৩ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়েছে যথাক্রমে ১০ , ১৮ ও ২৪ মার্চ। চতুর্থ ধাপে ১২৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ৩১ মার্চ।


ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। একই দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরাও পাল্লা দিয়ে বিনা ভোটে জিতে চলেছেন। চতুর্থ ধাপের হিসাবে দেখা যায়, সব মিলিয়ে ৮৮ জন বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৩৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২২ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ২৭ জন।


তার আগে তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৪৮ জন এবং প্রথম ধাপে ২৮ জন বিনা ভোটে জয়ী হন।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় এই নির্বাচনের তিনটি পদে মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও অতীতের নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম। তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ হয়েছে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ হারে। দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। এই ধাপে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ হারে। আর প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ হারে।


এর আগে ২০০৯ সালের তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৭০ শতাংশের ওপরে এবং ২০১৪ সালে ছিল ৬০ শতাংশের ওপরে।