Thank you for trying Sticky AMP!!

চার প্রার্থী নিয়ে উৎকণ্ঠায় আ.লীগ, স্বস্তিতে বিএনপি

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। দল থেকে চারজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। আর একক প্রার্থী থাকায় বিএনপি তুলনামূলকভাবে স্বস্তিতে আছে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এখানে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন ওরফে বেলাল এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সাংসদের পক্ষের উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুজনকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এই পক্ষের দাবি, তিনিই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আহমদ হোসেনের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী এ টি এম ফয়জুর সিরাজ ওরফে জুয়েল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা চন্দন কুমার কুণ্ডও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পক্ষ থেকে জুয়েলকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
দলটির আরেক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাছুদ আলম ওরফে টিপু। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপু স্থানীয় সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের শেষ সময়ে এসে তিনি দূরে সরে যান। তাই তিনি দলের সমর্থন চাননি। তিনি আলাদাভাবে প্রার্থী হয়েছেন।
দলটির সাংসদের পক্ষের নেতা-কর্মীরা জানান, তাঁরা জাহিদুলের পক্ষেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলীয় অধিকাংশ ভোট তিনিই পাবেন। তবে দলের সাধারণ সমর্থকেরা জানান, আওয়ামী লীগ থেকে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনে দল পরাজিত হতে পারে। এ কারণে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন দাবি করেন, জেলা কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষ ভোটে বিজয়ী হওয়ায় জাহিদুল ইসলামকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে। আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উপজেলা বিএনপির কেউ কেউ জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএনপি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ছিল। এ দলে থেকেও চেয়ারম্যান পদে একাধিক নেতা নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দলীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়। শেষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান দলীয় সমর্থন পান। বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, সাইদুর রহমান একক প্রার্থী থাকায় বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তা ছাড়া দলীয় কোন্দলও নিরসন হয়েছে।
সাইদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দলে কোনো কোন্দল না থাকায় আমি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।’ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।