চা-শ্রমিকের সন্তানদের জন্য কোটা দাবি
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে চা-শ্রমিকের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদ। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে তাঁরা উপাচার্যের দপ্তরে এ স্মারকলিপি দেন। উপাচার্যের কার্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্যের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা একটার দিকে সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত রাড়াইকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করে। এ সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তিতে চা-শ্রমিকের সন্তানদের জন্য পৃথক ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দের দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, চা-বাগানের শ্রমিকেরা দৈনিক ৮৫ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। এ টাকায় বেঁচে থাকার জন্য দুই কেজি চালও কেনা সম্ভব হয় না। এরপরও চা-শ্রমিকের সন্তানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কোটা থাকলেও সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া দূরের কথা, সেখানে ভর্তি হওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারে না। হতদরিদ্র ও অসহায় চা-শ্রমিক সন্তান কোটা চালু করে তাঁদের দেশের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি করা হয়।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় আমাদের বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষার সময় আবারও দেখা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন
-
সফর বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সাড়ে তিন মাসেই বিদেশ গেলেন প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জন
-
কালও বন্ধ থাকবে যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
-
প্রশ্নপত্র ফাঁস: ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস, রায়ে যা বলেছেন আদালত
-
প্রধানমন্ত্রী স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন, ওবায়দুল কাদের
-
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক