Thank you for trying Sticky AMP!!

চেয়ারম্যান খুনের পর তিন বছরেও নির্বাচন নেই

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর খুন হওয়ার সোয়া তিন বছরেও ওই পরিষদে নির্বাচন দেয়নি সরকার। অথচ মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে সব উপজেলায় নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি পরিষদের নির্বাচনে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ নূর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে পরিষদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ কিছু ক্ষমতা দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়।
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ১৪ ও ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্যের মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণসহ কয়েকটি কারণে পদ শূন্য হবে। পদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করতে হবে এবং যিনি উক্ত পদে নির্বাচিত হবেন, তিনি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর পর আতাউর রহমান তাঁর সীমিত ক্ষমতা অসীম করে ফেলেন। নিজের কার্যালয়ের নামফলকে লিখেছেন ‘মো. আতাউর রহমান, চেয়ারম্যান, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ’। চেয়ারম্যান পদের সব সুযোগ-সুবিধা (গাড়ি-বাড়ি ব্যবহার) ভোগ করছেন তিনি।
প্রয়াত সানাউল্লাহর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির সদস্য মহুয়া নূর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তাই এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে ওই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সরকার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নির্বাচন দিচ্ছে না। আর চেয়ারম্যান না হয়েও আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান চেয়ারম্যান সেজে আছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার নিয়মমাফিক আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে।’ নামফলকে চেয়ারম্যান লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কার্যালয়টি চেয়ারম্যানের হওয়ায় সেটা বদলানো হয়নি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি। আর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চাইলে নির্বাচন হবে। তখন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব।’
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, বড়াইগ্রামের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে অনেক আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে তাঁর কিছু করার নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুরোধ জানালে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।