Thank you for trying Sticky AMP!!

চেয়ারম্যান পদে পাঁচজনের চারজনই মামলার আসামি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে চারজনই বিভিন্ন মামলার আসামি। শুধু আবদুল আলী ভূইয়ার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁরা নির্বাচন করবেন নিজের টাকার পাশাপাশি ধারদেনা ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামায় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এই উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাবেদ হোসেন (কাপ-পিরিচ), সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলী ভূইয়া (মোটরসাইকেল), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (আনারস), উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) ও সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত আলী মুনসুর (দোয়াত-কলম)। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ জাবেদ হোসেন আওয়ামী লীগ এবং আবু বকর সিদ্দিক বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন।
হলফনামা থেকে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা ও চুরির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। নিজের টাকার পাশাপাশি স্ত্রীর বড় ভাই ও এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তিনি নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন। সৈয়দ জাবেদ হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুটি মামলা থাকলেও বর্তমানে তিনি উভয় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। পেশায় ঠিকাদার জাবেদ নিজের অর্থ খরচ করেই নির্বাচনী ব্যয় চালাবেন।
হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মারামারি ও অবৈধ সমাবেশ করার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাঁর নির্বাচনী খরচ আসবে ছেলে, ভাতিজা ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধারদেনা করে। আরেক প্রার্থী আলী মুনসুর প্রতারণা ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি। তিনি নিজের অর্থের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নির্বাচনী ব্যয় চালাবেন। মামলার বাইরে থাকা আবদুল আলী ভূইয়া নির্বাচন করবেন আত্মীয়স্বজনের কাছে পাওয়া অর্থ থেকে। পাশাপাশি কিছু ধারদেনাও করবেন।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন। তাঁরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ওবায়দুল কবির মৃধা এবং ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক আলম মোল্লা। ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার, নাসিমা সুলতানা ও মোছা. ছালমা।