Thank you for trying Sticky AMP!!

ছড়াচ্ছে বিতর্কের চর্চা

নারায়ণগঞ্জে উদ্বোধনী পর্বে উঠছে জাতীয় পতাকা

বাংলাদেশে এমন বিতর্ক প্রতিযোগিতা এই প্রথম। এ ধরনের মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিতার্কিক সুবল বড়ুয়া। আমি তাঁর কাছ থেকে আরেকটু ব্যাখ্যা আশা করি। তিনি বললেন, ‘প্রতিটি জেলা ধরে এমন বিতর্ক উৎসবের আয়োজন কেউ তো এর আগে কখনো করেনি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বিতর্কের চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেটার খুব দরকার ছিল। এ জন্য প্রথম আলোকে অভিনন্দন জানাই।’
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান আমাদের তাগাদা দিচ্ছিলেন—জাতীয় বিতর্ক উৎসব করতে হবে। দেশজুড়ে। কিন্তু আমরা বছরের একটা সময়জুড়ে পুরান ঢাকা ও মিরপুর বিতর্ক উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এর বাইরে আমাদের ভাবনাটা বেশি দূর গড়ায়নি। জাতীয় বিতর্কের কথা প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকও বলতেন। জাতীয় বিতর্ক হবে তেমনটাই আশা করতেন।
২০১৩ সালে এসে আমাদের সবার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। প্রথম আলোর বড় বড় আয়োজনের সূচিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসব যুক্ত হলো।
স্কুলপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গিয়ে বিতর্ক করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু খুদে বিতার্কিকেরা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গিয়ে বিতর্ক করে বাড়ি ফিরেছে। শুধু তা-ই নয় ছিনিয়ে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। বান্দরবানের বিতার্কিকেরা গিয়েছিল রাঙামাটিতে তারা চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপের দুটি ট্রফিই বিতর্ক করে জয় করে বাড়ি ফিরেছে। সাতক্ষীরার বিতার্কিকেরা গিয়েছিল খুলনায় তারাও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রথম আলোর জাতীয় বিতর্কচর্চাটা ছড়িয়ে পড়ছে সবার মধ্যে। প্রতিটি উৎসবে আমরা স্থানীয় বিতার্কিক, বিতর্কের বিচারকদের আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাঁরা অত্যন্ত আগ্রহভরে আমাদের এই উৎসবগুলোয় অংশ নিয়েছেন। ঢাকা থেকেও আমরা বিতর্কের বিচারকদের দূর-দূরান্তে পাঠিয়েছি। তাঁরা দূরযাত্রার ধকল উপেক্ষা করে ছুটে গিয়েছেন বিচারকাজে। শুধু তা-ই নয় স্থানীয় বন্ধুসভার কাজেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। আমরা তাঁদের আগ্রহ দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

ময়মনসিংহে বিতর্ক বিষয়ে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের

ঢাকার বাইরে থেকে কোনো কোনো স্কুলের শিক্ষকেরা ঢাকায় আমাদের কাছে টেলিফোন করেছেন। বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। বিতর্ক উৎসবের বাইরেও তাঁরা নিয়মিত কাজ করতে চান সে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। কিশোরগঞ্জের এক স্কুলশিক্ষক জানতে চেয়েছেন, ঢাকা থেকে গিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিতর্কের ওপর প্রশিক্ষণ দিতে পারব কি না।

কুষ্টিয়া থেকে শুরু হয় জাতীয় বিতর্ক উত্সব

জাতীয় বিতর্ক উৎসব সারা দেশে একটা হইচই ফেলে দিয়েছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। অনেক শিক্ষক বিনয়ের সঙ্গে বলেছেন, ‘প্রতিটি জেলায় উৎসব হলে ভালো হয়।’ আমাদেরও ইচ্ছে তাই। আগামী বছর আমরা আশা করছি প্রতিটি জেলায়ই বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
আমরা ভেবেছিলাম জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার পর পরই কী করে সম্ভব জাতীয় বিতর্ক উৎসব। বন্ধুসভার বন্ধুদের ওপর চাপ পড়ে যায়। কিন্তু না, বিভিন্ন জেলার বন্ধুদের উৎসবের কথা জানতেই তাঁরা লাফিয়ে উঠেছেন। ‘কবে থেকে শুরু?’ সেই শুরুটা দ্রুতই শুরু হয়ে যায়।
৩১ অক্টোবর ঢাকার বাইরের উৎসবগুলো শেষও হয়ে যাচ্ছে।
নির্বাহী সভাপতি: প্রথম আলো বন্ধুসভা
জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ।