Thank you for trying Sticky AMP!!

ছবির হাটে ভাঙচুর শিল্পীদের প্রতিবাদ

ছবির হাটের ‘শিল্পকর্ম ভাঙচুর ও লুটপাটের’ প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছেন সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করা শিল্পীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের লোকজন ছবির হাটের প্রায় পাঁচ শ শিল্পকর্ম ধ্বংস ও গায়েব করেছে৷
গতকাল বুধবার বিকেলে ছবির হাটে গিয়ে দেখা যায়, কালো কাপড়ে একটি ব্যানার টানিয়ে ১০-১২ জন শিল্পী বসে আছেন। কয়েকজন ভাঙা শিল্পকর্ম জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন আর চারুকলা থেকে নতুন-পুরোনো কিছু চিত্রকর্ম এনে আবারও ছবির হাটের পুরোনো রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা সেখানে গণসংগীতের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। যত দিন তাঁদের ‘লুট’ হওয়া শিল্পকর্ম ফিরিয়ে না দেওয়া হবে, তত দিন প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন৷ একই সঙ্গে ছবির হাটে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যের চর্চার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান শিল্পীরা।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিল্পীদের একটি লিফলেট বিতরণ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘কোনো রকম জানান দেওয়া ছাড়াই হাটুরেদের অনুপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে অস্থায়ী স্থাপনা, গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে রক্ষিত শত শত শিল্পকর্ম। যেখানে ছিল আবুল বারক আলভী, শিশির ভট্টাচার্য, তরুণ ঘোষ, রুহুল আমিনসহ বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্ম।’ কাদের অঙ্গুলি হেলনে ছবির হাটে হিংস্র থাবা—এমন প্রশ্ন রাখেন তাঁরা।
এ সময় শিল্পী তরুণ ঘোষ, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২০০৩ সালে চারুকলার বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখটি ‘ছবির হাট’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সারা বছর সেখানে শিল্পকর্ম, নাটক-চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে লোকজন এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন৷ এ সময় ছবির হাটেও ভাঙচুর করা হয়। তবে গতকাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও অধিদপ্তরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।