Thank you for trying Sticky AMP!!

জনতা পথে পথে দুর্ভেদ্য অবরোধ গড়ে তুলেছে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী

তফসিল ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জনগণ পথে পথে দুর্ভেদ্য অবরোধ গড়ে তুলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন। বিরোধী জোটের ডাকা ৭১ ঘণ্টার অবরোধের তৃতীয় দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি।

রিজভীর দাবি, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত জোটের একজন নিহত, ৯০০ জনের বেশি আহত এবং ছয় হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। দুই দফায় অবরোধের সময় বাড়ানোয় শুক্রবার সকাল পাঁচটায় অবরোধ শেষ হবে। অবরোধ চলাকালে নিহত মানুষের জন্য কাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি রয়েছে। রিজভী জানান, ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনকে সরকারের ক্রীতদাস আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা করে সারা দেশে সহিংসতার অগ্নি প্রজ্বালন করে কমিশন সরকারের বাঁশিতেই ফুঁ দিচ্ছে।’ সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। রাজপথে জনগণ নেমে এসেছে, পথে পথে সংগ্রামী জনতা দুর্ভেদ্য অবরোধ গড়ে তুলেছে। সরকার তার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দমন-পীড়নের এহেন পন্থা নাই, যা তারা ব্যবহার করেনি।’

রিজভীর অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীগুলোর খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলের মিটিং মিছিলে গুলি ছুড়ে শুটিং প্র্যাকটিস করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রিজভী বলেন, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নেতা-কর্মীর রক্ত ঝরানো হচ্ছে। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে কোনো জায়গা নেই আহতদের চিকিত্সার জন্য। দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জখম, মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তার করে সরকার নিশীথ রাতের কবরের নিস্তব্ধতা বজায় রাখতে চাইছে।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে রক্তক্ষয় ও বিপর্যয় ঘটানোর পথ থেকে সরে আসুন। দেশব্যাপী নিজেদের লোক দিয়ে নাশকতা বন্ধ করুন।’

বিরোধী নেতা-কর্মীদের বসতবাড়িতে পুলিশ তল্লাশির নামে হয়রানি চালাচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিজেরা হাড় হিম করা অনেক নির্যাতন সয়েছি এবং সহ্য করে যাচ্ছি। কিন্তু বাড়ির শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক কোনো ব্যবহার হলে জীবন পণ রেখে সেটি প্রতিহত এবং প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।’