Thank you for trying Sticky AMP!!

জাতীয় দিবসগুলো বেশি করে পালন করতে হবে

স্বাধীনতাবিরোধীরা সারা বছর যা অর্জন করে—মার্চ আর ডিসেম্বর মাসে সেটা শূন্যে নেমে যায়। তাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। তাই এই দিবসগুলো যত বেশি পালন করা হবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তত বেশি মানুষের মানস কাঠামোতে জায়গা করে নিতে পারবে।

আজ শনিবার একক বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এসব কথা বলেন। বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এই বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০১৭ উদ্‌যাপন এবং গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মুনতাসীর মামুন বলেন, এখন সময় দায় মোচনের। এখন সময় ইতিহাস ফিরে পাওয়ার। আমাদের উত্তরসূরিদের স্মরণ করতে হবে। সবাইকে ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, মার্চ ও ডিসেম্বরে প্রতিদিন বিভিন্ন দিবস পালন করতে হবে। ১ মার্চ পালন করতে পারি পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা হিসেবে। ২ মার্চ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন দিবস। ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন পতাকা হাতে নিয়েছিলেন। সে দিনটিকে স্মরণ করতে পারি। আমরা যেভাবে ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৫ মার্চ, ২৬ মার্চ পালন করি—তেমনি ২৭ মার্চ পালন করতে পারি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ দিবস হিসেবে। যদি এভাবে আমরা বিভিন্ন দিবস পালন করি, তবে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আমাদের মানস জগতে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।

মুনতাসীর মামুন বলেন, কেন আমরা ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করি না? আপনি স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারেন, মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করতে লজ্জা লাগে? এভাবে মুক্তিযুদ্ধ চর্চার মধ্যে থাকলে মুক্তিযুদ্ধ আপনার মন থেকে যাবে না। ইতিহাস আপনার মন থেকে যাবে না এবং আপনি ইতিহাসের অধিকারটা ফিরে পাবেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ, শিমুল মুস্তফা প্রমুখ।