Thank you for trying Sticky AMP!!

জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন।

গতকাল শনিবার থেকে তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানানো হয়েছিল। আজ রোববার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যার আগের মতোই আছেন।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে গত শুক্রবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে জানানো হয়। তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল। গতকাল শনিবার সকালে তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানানো হয়। মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে জানান, অবস্থা স্থিতিশীলই আছে। অক্সিজেন চলছে। শ্বাসকষ্ট কিছুটা আছে।

গতকাল রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর কাদির আহমেদের বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন। তাঁকে গতকাল রাতে ডায়ালাইসিস ও প্লাজমাথেরাপি দেওয়া হয়েছে। আজ আবারও ডায়ালাইসিস দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেনথেরাপি লাগছে। আগে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস লাগলেও পরিস্থিতির সাপেক্ষে তাঁর চিকিৎসক প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।