Thank you for trying Sticky AMP!!

জামদানিপল্লিতে ঈদের ব্যস্ততা

>

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কেনাকাটায় অনেক নারীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে জামদানি শাড়ি। তাই ঈদের আগে ক্রেতার ব্যাপক চাহিদার কথা ভেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জামদানিপল্লির কারিগরেরা। মনকাড়া বাহারি নকশার এসব শাড়ি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপালসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বিপুল চাহিদা রয়েছে।

শত বছর আগ থেকেই রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জে জামদানি শাড়ি তৈরি হয়ে আসছে। এ অঞ্চলে জামদানি তৈরির কয়েক হাজার তাঁতের সঙ্গে প্রায় তিন হাজার নারী ও পুরুষ কারিগর জড়িত। এখানে তুলে ধরা হলো তাঁদের সেই ব্যস্ততার চিত্র।

ঈদের ফরমাশ এসেছে রোজার আগেই।
তাই সময়মতো চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরেরা।
বংশপরম্পরায় জামদানিপল্লিতে কাজ করে যাচ্ছেন কয়েক হাজার কারিগর।
নওয়াপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা বকুল মিয়া ও রুনা বেগম দম্পতি। তাঁরা ছোটবেলা থেকে এই কাজ করে আসছেন।
বকুল মিয়া বুনছেন সুরমাদানি নকশা, যার বাজারমূল্য হবে ৩৫ হাজার টাকা।
বর্তমান বাজারে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০-৫০ হাজার টাকা দরের জামদানি শাড়ি ও থ্রি-পিস তৈরি করা হয়।
একটি শাড়ি তৈরি করতে দুজন কারিগরের এক সপ্তাহ থেকে প্রকারভেদে এক-দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
পারিশ্রমিকে কাজ করলে মূল কারিগরের সঙ্গে একজন সহকারী কাজ করেন। তাঁকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হয়। ফলে, মূল কারিগর দুই হাজার টাকার বেশি মজুরি পান না।
জামদানিপল্লির একটি দোকানে শাড়ি দেখছেন এক ক্রেতা। ঢাকাসহ আশপাশ এলাকার অনেক ব্যবসায়ী এখানে নিয়মিত আসেন পাইকারি দরে শাড়ি কিনতে। প্রতি শুক্রবার বসা হাটেও থাকে জমজমাট ব্যবসা।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গড়ে উঠেছে এই বিসিক জামদানিপল্লি। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর এ পল্লিতে চাহিদা অনুযায়ী কয়েক লাখ জামদানি শাড়ি তৈরি হয়।