জামায়াতের আজহারের করা আপিলের রায় বৃহস্পতিবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানা যাবে। মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিলের ওপর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
গত ১০ জুলাই আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
আজ বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় রায় ঘোষণার জন্য আজহারের আপিলটি এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি অষ্টম মামলা, যার ওপর রায় হতে যাচ্ছে।
আদালতে আজহারুলের পক্ষে শুনানি করেছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে বলা হয়, আজহারুলের বিরুদ্ধে গঠন করা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের তিনটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদণ্ড) দেওয়া হয়। ধর্ষণ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের দুটি অভিযোগে তাঁকে মোট ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুরের আলবদর নেতা ছিলেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার। এই আপিলের ওপর গত ১৮ জুন শুনানি শুরু হয়ে ষষ্ঠ দিনে গত ১০ জুলাই শেষ হয়।
আরও পড়ুন
-
বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ, সাইফউদ্দিন
-
চোখ মেলছেন নিবিড়, ছেলের মুখে বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আপিল করছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ধর্ষণ, অতঃপর আসামির যাবজ্জীবন
-
‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর’