Thank you for trying Sticky AMP!!

জামায়াতের শামীম সাঈদীর পাশে নেই বিএনপি

শামীম সাঈদী

পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী শামীম সাঈদীর পাশে নেই বিএনপি। প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম সভা-সমাবেশ করছেন। পোস্টারে ছেয়ে গেছে সড়ক-হাট-বাজার। তবে শামীম সাঈদীর দেখা মিলছে না। তাঁর পক্ষে প্রচার নেই কোথাও।

শামীম সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পুলিশ পিরোজপুর শহরের বাইপাস সড়কে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন থেকে শামীম সাঈদীর মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবকারী পিরোজপুরের দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার সুপার শওকত আলী, সমর্থনকারী পিরোজপুর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক সোহরাব হোসেন ও দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর বিএনপির নেতা-কর্মী ও শামীম সাঈদীর সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ সম্পর্কে শামীম সাঈদীর ভাই ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘তিন শিক্ষককে তাঁদের কর্মস্থল থেকে ডিবি ও থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার দেখিয়ে তাঁদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার দুজন শামীম সাঈদীর প্রস্তাব ও সমর্থনকারী। মূলত তাঁদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

এই অভিযোগ অস্বীকার করে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাইপাস সড়কে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের মাঠ থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটি থেকে একটি দেশি পাইপগান, ছয়টি বন্দুকের গুলি, পাঁচটি পেট্রল বোমা ও ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বলেন, ‘শামীম সাঈদীর তিন কর্মীকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তাঁরা আমাকে জানিয়েছিল। আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ মামলা ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করছে না।’

স্থানীয় বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী চেয়েছিল। তারা শামীম সাঈদীকে পিরোজপুর-২ আসন ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জামায়াত পিরোজপুর-১ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। দলীয় প্রার্থী না পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী সেখানে ওই দল প্রচার–প্রচারণা বা সভা–সমাবেশের উদ্যোগ নেবে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাতে অংশ নেবেন। পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম সাঈদী। তিনি নিজে এখনো প্রচার–প্রচারণা শুরু করেননি। তাহলে বিএনপি মাঠে নামবে কীভাবে? আগে তাঁরা নামুক।