Thank you for trying Sticky AMP!!

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২৭-২৮ অক্টোবর

সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর (শনি ও রোববার) আয়োজন করা হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮। তৃতীয়বারের মতো হওয়া এই আয়োজনের প্রথম দিন ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হবে এবং দ্বিতীয় দিন সেরা ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে হাতে তুলে দেওয়া হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের হাত থেকে সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান সরাসরি এই পুরস্কার গ্রহণ করবে।

এই আয়োজন উপলক্ষে ২৬ অক্টোবর দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সমবেত হবেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিরা। এদিন রাতে পরিচয়পর্ব সেরে নেবেন তাঁরা।

২৭ অক্টোবর শনিবার থেকে শুরু হবে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম। এদিন সকালে 'ক্যারিয়ার টক অ্যাট এইচআর টেন্ট'-এ অংশ নেবে ইয়াং বাংলার ২০০ তরুণ। এখানে উপস্থিত থাকবেন ২০১৫ ও ২০১৭ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ৬০ জন। একজন সাধারণ তরুণ থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প সবাইকে জানাবেন উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে তাঁদের চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার কলাকৌশল নিয়েও আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে নতুন কর্মী নিয়োগ, বাছাই থেকে শুরু করে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে এই সেশনে। সেশনটি সঞ্চালনা করবেন রেন্ডি গডফ্রে।

এদিন দুপুরের সেশনে আয়োজন করা হবে ‘লেটস টক’। সেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রথম বাংলাদেশি নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাথ মজুমদার, নারী উদ্যোক্তা ভাষাণী আক্তার ও দেশের জনপ্রিয় সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা। প্যানেলিস্ট হিসেবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন উম্মে সায়মা জয়া (২০১৭), আনিস মোরশেদ (২০১৫) এবং কুমার বিশ্বজিৎ (২০১৫)। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন শাহ আলী ফারহাদ। এখানে আলোচনা হবে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা-দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, সুনাগরিক হিসেবে তরুণদের ভূমিকা এবং তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে।

দিনের শেষ সেশনে শীর্ষ ৫০ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের বাছাই করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এ সময় সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং ইয়াং বাংলার পার্টনাররা এই সার্টিফিকেটগুলো দেবেন। সার্টিফিকেট দেওয়ার পর্ব শেষ হলে নিজেদের অভিজ্ঞতা সবার সামনে উপস্থাপনা করবেন এই শীর্ষ ৫০ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া নিজেদের অ্যাওয়ার্ড বিজয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন ২০১৫ ও ২০১৭ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা।

দ্বিতীয় দিন শুরু হবে নারী অধিকার ও সুরক্ষায় সচেতনতা–বিষয়ক সেশনের মাধ্যমে। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে '#BeBrave' শিরোনামে আয়োজিত এই দুই ঘণ্টার সেশনে বক্তব্য দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মো. শাইখ ইমতিয়াজ।

২৮ অক্টোবর বিকেল চারটায় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ বিজয়ী ৩০ প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা এবং শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সর্বশেষে মিউজিকাল সোয়ারীর মাধ্যমে শেষ হবে ২০১৮ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের কার্যক্রম।

তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই) ২০১৪ সালের নভেম্বরে দেশের তরুণদের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৫ সাল থেকে তাদের অনুপ্রাণিত করতে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করে আসছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ গঠনে তরুণদের সৃজনশীল উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে এবার তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’।

২০১৫ সালে ৩০টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এবং ১০টি সংগঠনকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একইভাবে ২০১৭ সালেও ৩০টি সংগঠনকে বিজয়ী এবং ১০টি সংগঠনকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০১৮ সালেও ১০টি বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া যাবে। এর মধ্যে দক্ষতার উন্নয়ন, সর্বব্যাপী শিক্ষা, বিশেষভাবে সক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক বিপ্লব, উদ্ভাবক, খেলাধুলা এবং ফিটনেস, জনসচেতনতা সৃষ্ট, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসসহ আরও বেশ কিছু বিভাগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, তরুণদের জন্য খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য চর্চার ব্যবস্থা করা সংগঠনগুলোকে আবেদনের আহ্বান জানানো হয়। ২১ আগস্ট ইয়াং বাংলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন ফর্ম প্রদানের মাধ্যমে শুরু হওয়া কার্যক্রম শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য সারা দেশ থেকে আবেদন করে দুই হাজারের বেশি সংগঠন। এর মধ্যে থেকে ৩০ সংগঠন পাবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। বিজ্ঞপ্তি