Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝুঁকি আর জীবিকায় জটিল সময়ে বাংলাদেশ

সারা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এরপরও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। হাটবাজারে মানুষের ভিড় যেন প্রতিদিনের চিত্র। বাড়ছে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি। গতকাল সকাল সাতটায় চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাটের নতুন মাছবাজারে। ছবি: সৌরভ দাশ

দেশে করোনাভাইরাসের সংখা এখন ঊর্ধ্বমুখী। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে আরও কিছুদিন। করোনা মোকাবিলার জোর প্রস্তুতির এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি শিথিল হয়ে পড়ছে। অর্থনীতি কিছুটা সচল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একদিকে জীবনের ঝুঁকি, অন্যদিকে জীবিকার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জটিল সময় পার করছে বাংলাদেশ।

গত ১২ দিনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২৫ এপ্রিল এক দিনে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩০৯ জন। এরপর ৪ মে পর্যন্ত প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা ছিল চার থেকে ছয় শতাধিক। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন ৭৯০ জন রোগীর কথা বলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজে নিয়োজিত আটজন বিশেষজ্ঞ তাঁদের পূর্বাভাসে বলেছিলেন, ১৭–১৮ মে পর্যন্ত এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

>সংক্রমণ মোকাবিলায় হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মেনে চলা শিথিল করা যাবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

এই পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে কলকারখানা, হাটবাজার খুলছে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এসব খোলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নানা ধরনের শর্ত দিচ্ছে। যদিও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হলে সমাজ ও অর্থনীতি অনিরাপদ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। গতকাল বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, 'ঢালাওভাবে দোকানপাট, কলকারখানা খুলে দিলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।'