Thank you for trying Sticky AMP!!

টাকা ভাগাভাগির জেরেই খুন হন চালক উজ্জ্বল

টাকাপয়সার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গলা কেটে হত্যা করা হয় পিকআপ ভ্যানের চালক মো. উজ্জ্বলকে (২৪)। হত্যার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী লাশ শহরের কাশীপুর এলাকায় নির্মাণাধীন শহীদ আবদুর বর সেরনিয়াবাত বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালে বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। বরিশাল নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ রোববার এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

পিকআপ ভ্যানের চালক উজ্জ্বল খুনের ঘটনায় গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল বিমানবন্দর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন যুবক হলেন সোহাগ (২৬), রবিউল (১৭) ও রমজান (১৭)।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল নগর পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালের সাব-কন্ট্রাক্টর মো. সোহাগ ও ওই টার্মিনালের শ্রমিক রবিউল ও রমজান মিলে ট্রাক টার্মিনালের বালু, সিমেন্ট, রড চুরি করে উজ্জ্বলের পিক আপে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন। মূলত এসব মালামাল বিক্রির টাকাপয়সার ভাগাভাগি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহাগ, রমজান ও রবিউল মিলে উজ্জ্বলকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টার্মিনালের পাশে বালুর মধ্যে চাপা দিয়ে রাখা হয়।

হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, সোহাগের কাছে চুরির মালামাল বিক্রির দেড় হাজার টাকা পেতেন উজ্জ্বল। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে দেন সোহাগ। বাকি ৩০০ টাকা নিয়ে কয়েক মাস ধরে উজ্জ্বলকে ঘোরাচ্ছিলেন সোহাগ। এ কারণে চুরির বিষয়টি মূল ঠিকাদারের কাছে ফাঁস করে দেন উজ্জ্বল। এ বিষয়ে উজ্জ্বলের ওপর ক্ষুব্ধ হন সোহাগ। এর পর থেকেই উজ্জ্বলকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করেন সোহাগ। আগে দুবার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মারার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। ১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ফোন করে উজ্জ্বলকে ট্রাক টার্মিনালের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডেকে নেন সোহাগ। কথা বলার সময় একপর্যায়ে পেছন থেকে এসে গলা কেটে হত্যা করেন সোহাগ। পরে বাড়িতে এসে জামাকাপড় বদলে আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ব্যবহার করা একটি কাঁথা মুড়ি দিয়ে উজ্জ্বলকে বালুচাপা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

বালু খুঁড়ে উদ্ধার হলো ভ্যানচালকের লাশ