Thank you for trying Sticky AMP!!

টানা হরতালে দুধ বিক্রেতারা বিপাকে

টানা হরতালের কারণে বগুড়ার শেরপুরে দুধ বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। এ সময়টাতে হোটেল-রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকানে লোকজন তেমন থাকে না। এ ছাড়া রয়েছে যাতায়াতের সমস্যা। ক্রেতা কমে যাওয়ায় কম দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।
শেরপুর পৌর শহরের দুধের বাজারে গত সোমবার গিয়ে জানা যায়, উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম থেকে প্রতিদিন এখানে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার শ মণ দুধ বিক্রির জন্য আসে। স্থানীয় লোকজনসহ মিষ্টি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান মালিকেরা এ দুধ কিনে থাকেন। পাশাপাশি বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর উপজেলার দই ব্যবসায়ীরাও এ বাজার থেকে দুধ কিনে নেন।
একাধিক দুধ বিক্রেতারা বলেন, চলমান হরতালের আগে গত শনিবার প্রতি কেজি দুধের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। কিন্তু হরতাল শুরুর পর গত সোমবার থেকে দাম কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি ২০-২৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
গোপালপুর গ্রামের গরু পালনকারী আবদুর রহিম জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই তাঁদের গরু পালার ব্যয় বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি দুধ ৩৫ টাকায় বিক্রি করা গেলে তাঁদের ব্যয় ও আয় সমান সমান হয়। কিন্তু টানা হরতালে এ দামটাও পাচ্ছেন না। এখন বড়জোর ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে হরতাল চলতে থাকলে গরু পালাই কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের দুধ বিক্রেতা নিকুঞ্জ রায় বলেন, ‘টানা দুই থেকে তিন দিন হরতাল হলেই আর দুধ কেনার লোক পাওয়া যায় না। তখন দুধের দাম আপনা-আপনিই কমে যায়।’ তিনি আরও জানান, প্রতিটি হরতালেই তাঁদের লোকসানের পাল্লা ভারী হতে থাকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে পড়তে হয়।
শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জলযোগ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সাধন বসাক বলেন, টানা হরতাল হলেই বিক্রিবাট্টা কমে যায়। এ রকম অবস্থায় প্রায়ই তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। ফলে দুধও আর কেনা হয় না।