Thank you for trying Sticky AMP!!

টিআর, কাবিখার বরাদ্দ সাংসদদের না দেওয়ার দাবি

রুমিন ফারহানা

গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির মতো কর্মসূচিগুলোর বরাদ্দ সাংসদদের হাতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা। তিনি এই বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের হাতে দেওয়ার দাবি জানান।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা এই দাবি জানান।

ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় রুমিন ফারহানা বলেন, টিআর, কাবিখা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা সাংসদদের কাজ নয়। তাঁদের কাজ আইন প্রণয়ন করা, আইন সংশোধন করা, মন্ত্রিসভা গঠন করা। টিআর, কাবিখা নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে। এগুলো সংসদ সদস্যদের হাতে না দিয়ে স্থানীয় সরকারের হাতে দেওয়া উচিত।

জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা তদন্ত হওয়া দরকার।

ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, মানুষ এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ভয় পায় না। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ নিয়ে ভয় পায়। সেটা হলো বিএনপি-জামায়াত।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির আলোচনায় রুমিন বলেন, কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। কৃষিতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা সব সময় কৃষক পর্যায়ে পৌঁছায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগসাজশ আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে।

এবার ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকদের কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ করার দাবি জানান জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। জাতীয় পার্টির আরেক সাংসদ মুজিবুল হক বলেন, উৎপাদনের পর কৃষিপণ্যের কী অবস্থা হয়, সরকার তা দেখে না। বাজারজাতকরণের বিষয়টি সরকারের খেয়াল রাখতে হবে। সরকার ধানের চেয়ে চাল বেশি সংগ্রহ করে। কৃষক চাল বিক্রি করেন না। চাল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকেরা কষ্টে আছেন। তিনি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পরিমাণ বাড়াতে বেসরকারি গুদাম ভাড়া নেওয়ার দাবি জানান।

কৃষিতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সবকিছু আবর্তিত হয় কৃষিকে কেন্দ্র করে। গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা কৃষি। কৃষিতে মূলত যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেটা ভর্তুকি নয়, প্রণোদনা। এটা সরকারের বিনিয়োগ।