Thank you for trying Sticky AMP!!

টেক্সাস সীমান্তে আরও দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

শাহাদাত হোসেন নয়ন ও মাইনুল হাসান হৃদয়

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস সীমান্তে আরও দুজন বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনি (১২ মে) ও সোমবার (১৪ মে) দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। একজনের নাম শাহাদাত হোসেন, অন্যজন মাইনুল হাসান।

ছবি দেখে মাইনুল হাসানের খালাতো ভাই নিউইয়র্কের বাসিন্দা বোরহান উদ্দীন নিশ্চিত করেছেন, এই ছবি তাঁর খালাতো ভাইয়ের। অন্যজন শাহাদাত হোসেন। শাহাদাতের নাম ও ছবি দেখিয়ে তাঁর যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহে সাহায্য চেয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই শাহাদত হোসেনের জন্ম। আর মাইনুল হাসান হৃদয়ের বয়স ২১ বছর বলে জানা গেছে।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে টেক্সাসের যে হাসপাতালে মৃতদেহ দুটি রাখা আছে, সেখান থেকে নিউইয়র্কের মানবাধিকার সংস্থা ড্রামের বাংলাদেশি সংগঠক কাজী ফৌজিয়াকে উদ্ধার করা দুজনের প্যান্টের পকেটে থাকা কাগজপত্রের কিছু নমুনা পাঠানো হয়। ওই মেইলে সংযুক্ত চারটি ছবির একটিতে একজনের স্পষ্ট নাম পাওয়া যায়। কিন্তু তার ছবি স্পষ্ট নয়। আরেকজনের ছবি স্পষ্ট থাকলেও নাম-ঠিকানা কিছু পাওয়া যায়নি। তবে মানিব্যাগে একটি চিরকুটে তিনটি নম্বর পাওয়া যায়। একটি নম্বর বাংলাদেশের, অন্যটি ব্রাজিলের আর একটি নম্বর অস্পষ্ট করে লেখা, সেটি যুক্তরাষ্ট্রে।

ড্রামের তরফ থেকে প্রথম আলোর এ প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাগ্যাহতদের খুঁজে বের করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। অস্পষ্ট নম্বরটিতে কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরে বোরহান নামের একজন বাংলাদেশি কথা বলেন। তাঁকে ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। ছবি পাঠানোর পর তিনি নিশ্চিত করেন, এটি তাঁর খালাতো ভাই। বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। অন্যজনের ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর পাওয়া যায়নি। টেক্সাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং নিউইয়র্কের মানবাধিকার সংস্থা ড্রাম শাহাদাত হাসান নাঈমের পরিবারের খোঁজ জানানোর অনুরোধ করেছে।

মৃতদেহের ছবি দেখিয়ে সেখানকার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ নাম-ঠিকানা বের করতে অপারগতার কথা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ওই চিকিৎসক। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঢোকার চেষ্টাকালে রিও গ্র্যান্ডি নদীতে ডুবে মারা গিয়ে থাকতে পারেন তাঁরা। কেননা, কাছাকাছি দূরত্বে দুদিনের ব্যবধানে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বছরের এই সময় আরমান নামের আরও একজন বাংলাদেশির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল রিও গ্র্যান্ডি নদীতে। টেক্সাসের এল প্যাসো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ২৭০ জনের মতো, যেটা অন্য সব দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীর চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।

শাহাদাত হোসেনের পরিবার এবং যোগাযোগ ঠিকানা পেলে সোহেল মাহমুদ +১ ৬৩১ ৯৩৩ ৫১৫৫ নম্বরে অথবা কাজী ফৌজিয়া +১ ৩৪৭ ৯৫৬ ৩১৯৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।