Thank you for trying Sticky AMP!!

ডাকঘর সঞ্চয়ে নির্দিষ্ট টাকা পর্যন্ত সুদ বেশি দেওয়ার চিন্তা

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে লাভের হার যেন কোনোভাবে কমে না যায়, সে বিষয়ে যথাযথ পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম নিয়ে আলোচনা শেষে আজ রোববার কমিটি এই সুপারিশ করে বলে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সম্প্রতি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে আমানতের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনে অর্থ মন্ত্রণালয়। বৈঠক সূত্র জানায়, আজ বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়নি। এটি আগের মতোই আছে। কমানো হয়েছে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে আমানতের সুদের হার। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারেননি। অনেকে না বুঝে সমালোচনা করেছেন। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এই সুদের হার পুনর্বিবেচনা করবে। একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পর্যন্ত সুদের হার বেশি রাখা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

বৈঠকে জানানো হয়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে দুভাবে টাকা রাখা যায়। সাধারণ হিসাব ও মেয়াদি হিসাব। সাধারণ হিসাবে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। এরপর ২০০৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০০৪ সালের জুলাইয়ে সুদের হার কমিয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এখন সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে মেয়াদি হিসাবে ২০১১ থেকে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদের হার ছিল ৮ থেকে ১০ শতাংশ। এরপর সুদের হার বাড়ানো হয়। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ থেকে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরপর আবারও সুদের হার কিছুটা কমানো হয়। ২০১৫ সাল থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এখন সেটি করা হয়েছে ৫ থেকে ৬ শতাংশ।

সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কাস্টমস বিল ২০১৯ পর্যালোচনা করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কাজী নাবিল আহমেদ, আহমেদ ফিরোজ কবির ও রুমানা আলী বৈঠকে অংশ নেন।