Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিপিএস এসটিএস স্কুল থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে বের না করার আদেশ বহাল

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিউশন ফি না দিতে পারার কারণে রাজধানীর উত্তরার ডিপিএস এসটিএস স্কুলের কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের না করে দিতে বা অনলাইনে পরিচালিত ক্লাসের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদনটি আগামী ১৬ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী।

এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিপিএস এসটিএস স্কুলের কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের না করে দিতে বা অনলাইনে পরিচালিত ক্লাসের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টিউশন ফি পরিশোধে আপত্তি জানিয়ে ৫০ শতাংশ ফি মওকুফ চেয়ে রিট আবেদনকারীর করা আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইংরেজি মাধ্যমের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. কামরুজ্জামান কামরুল ওই রিটটি করেন।

হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের ওপর গতকাল ও আজ আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল চেম্বার কোর্টে শুনানি হয়।

আদালতে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী আশরাফ আলী ও ওমর ফারুক।

পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদনটি করে। চেম্বার কোর্ট কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে আবেদনটি ১৬ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। এতে ডিপিএস এসটিএস স্কুলের কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের না করে দিতে বা অনলাইনে পরিচালিত ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল থাকছে।

রিটে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার টিউশন ফি আদায় বিষয়ে অভিভাবকদের চাপ না দিতে সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে। এ নির্দেশনা অনুসরণ না করে গত ১০ জুন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে অভিভাবকদের জরুরিভিত্তিতে টিউশন ফি জমা দিতে বলে। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ও ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ বিষয়ে রিট আবেদনকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ৫ জুলাই একটি আবেদন দেন। ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১২ জুলাই রিটটি করা হয়। এই আবেদন এখনো নিষ্পত্তি হয়নি বলেও জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক।