Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকাগামী উত্তরাঞ্চলের বাস চলাচলে বাধা, দুর্ভোগ

পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল বুধবার সকালে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেন সিরাজগঞ্জের বাসমালিক ও শ্রমিকেরা। বগুড়ার বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের সমঝোতা হওয়ায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বেলা আড়াইটার দিকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার্থী।
বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতির দুটি বাস এত দিন নওগাঁ সড়কপথে চলছিল। তারা নতুন করে আরও দুটি বাস একই পথে চালাতে চায়। বিনিময়ে বগুড়া মালিক সমিতিও নতুন করে দুটি বাস সিরাজগঞ্জের অভ্যন্তরীণ সড়কে চালাতে চায়। কিন্তু সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতি এতে রাজি নয়। আলোচনা ছাড়াই গতকাল সকাল ১০টার দিকে বগুড়ার মালিকদের দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সব ধরনের বাস সিরাজগঞ্জ থেকে ফিরিয়ে দেন সেখানকার বাসমালিক-শ্রমিকেরা।
দুর্ভোগে পড়া কয়েকজন যাত্রী জানান, সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে যাত্রীবাহী সব বাস ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সকালে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে বগুড়ার মালিকদের কয়েক শ দূরপাল্লার বাস উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রী নিয়ে সিরাজগঞ্জে এসে বাধার মুখে পথে আটকে থাকে। কিছু বাস বগুড়ার ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে ফিরে এসে যাত্রী নামিয়ে দেয়।
সকাল আটটায় নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাসে রওনা দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী। তাঁদের একজন পৃথা মজুমদার জানান, সকাল ১০টার দিকে বাসটি সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় পৌঁছালে সেখানে আটকে দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান জানান, দুপুরে দুই পক্ষের নেতারা আলোচনায় বসেন। এরপর বেলা আড়াইটা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। ২৫ অথবা ২৬ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে। এর আগে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।