Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকার আরও তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের আরও তিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা, বিদেশে অর্থ পাচারসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

ওই তিন কাউন্সিলর হলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন ওরফে তিতু, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে সেন্টু এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক ওরফে মঞ্জু। চলমান শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতায় এই তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ডিএনসিসির ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি মিরপুর এলাকায়। স্থানীয় কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা, ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়ে বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুর এলাকায় ডিএনসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব কমিটির কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে জুয়ার আসর বসানো, বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনোয় বিনিয়োগ, চাঁদাবাজি, জমি দখল, জুয়া, মাদক ব্যবসায়ের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে ডিএসসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়নুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর ময়নুল হককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

এর আগে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাঁদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ওরফে মিজান, তারেকুজ্জামান ওরফে রাজীব গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। দুদকও তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে।