Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকার বেসরকারি পাঠাগারগুলোর দুই দিনের বই প্রদর্শনী

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে বই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ।

মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী বই প্রদর্শনী। ঢাকার বেসরকারি পাঠাগারগুলো তাদের সংরক্ষণে থাকা বইগুলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরছে এ আয়োজনে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রদর্শনী শুরু হয়। এতে ঢাকার ১০টি বেসরকারি পাঠাগার অংশ নিচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার্থে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে গ্রন্থমুখী হতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের কোনো বিকল্পই নেই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। তিনি বলেন, সারা দেশে গ্রামে গ্রামে গ্রন্থাগার গড়ে তুলে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি শাহাদাত হোসেনের কণ্ঠে আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ৫০টি বেলুন ওড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানে পল্লীমা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি আসাদুর রহমান, গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ বাকি স্মৃতি পাঠাগারের সম্পাদক আনিসুল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ।

আলোচনা পর্ব শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শহীদ বাকি স্মৃতি পাঠাগারের সদস্যরা, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র, স্বপ্ন বিকাশ কলাকেন্দ্র এবং সুরসাগর ললিতকলা একাডেমির সদস্যরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন।

প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই বই প্রদর্শনী চলবে। পাশাপাশি প্রদর্শনীতে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রদর্শনী শেষ হবে ২৫ মার্চ।